মেনু নির্বাচন করুন

বিদ্যালয়ের সংক্ষিপ্ত ইতিহাসঃ

 

বারুয়ামারী জহুরা খাতুন উচ্চ বিদ্যালয়টি জামালপুর জেলার সদর উপজেলাধীন বারুয়ামারী গ্রামে মরহুম হাসমত উল্লাহ্‌ সরকার এলাকাবাসীর সার্বিক সহযোগিতায় তাঁর মাতা মরহুমা জহুরা খাতুনের নামে ১৯৬৭ ইং সনে দুই একর জমি দান করে প্রতিষ্ঠা করেন। বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে চরাঞ্চলের জনগনের শিক্ষা গ্রহনের জন্য আর কোন উচ্চ বিদ্যালয় ছিলনা। অভিভাবক,ছাত্র-ছাত্রী,এলাকাবাসীর সহযোগিতা ও শিক্ষকমণ্ডলীর আন্তরিকতায় হাটি হাটি পা পা করে বিদ্যালয়টির অগ্রাযাত্রা শুরু। অত্র প্রতিষ্ঠানটি ০১-০১-১৯৭২ইং সনে জুনিয়র এবং ০১-০১-১৯৮২ইং সনে মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসেবে প্রথম স্বীকৃতি পেয়ে ১৯৮৪ইং সনে এমপিওভুক্ত হয়।অনেক বাধাবিপত্তি অতিক্রম করে হতদরিদ্র, অনগ্রসর মানুষের শিক্ষাবিস্তারে বিদ্যালয়টি গরুত্তপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে।অত্র বিদ্যালয়ে ১৯৬৭ইং হতে ২০২৩ইং সাল পর্যন্ত ০৭ জন প্রধান-শিক্ষক দায়িত্ব পালন করেছেন তন্মদ্ধে মরহুম মোকছেদ আলী সাহেব অন্যতম। ২০১২ইং সাল হতে   প্রধান-শিক্ষক/সদস্য-সচিব হিসেবে দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছেন বর্তমান প্রধান-শিক্ষক,জনাব মোহাম্মদ আহির উদ্দিন আকন্দ (কায়সার) সাহেব। অনেকপথ অতিক্রম করে বিদ্যালয়টি এখন উন্নত অবকাঠামো,ডিজিটাল কম্পিউটারল্যাব,বিজ্ঞানাগার,গ্রন্থাগার ও তথ্য-প্রযুক্তি সম্বলিত আধুনিক ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,যে প্রতিষ্ঠানে জামালপুর সদর উপজেলার মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রী অধ্যয়নরত আছে। বিদ্যালয়টিতে এস.এস.সি,জে.এস.সি এবং নবম ভোকেশনাল  পাবলিক পরীক্ষার কেন্দ্র বিদ্যমান । অভ্যন্তরিন ও পাবলিক পরীক্ষায় উক্ত বিদ্যালয়ের ফলাফল সন্তোষজনক। বিদ্যালয়টির বর্তমান অবস্থান ও কৃতিত্বের পশ্চাত্তে রয়েছেন প্রতিষ্ঠাতা পরিবারের অন্যতম আজীবন দাতা সদস্য, জামালপুর সদর আসন থেকে বার বার নির্বাচিত সংসদ সদস্য,গনমানুষের নেতা,গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সফল ভূমিমন্ত্রী (২০০৯-২০১৪),শিক্ষানুরাগী,অত্র প্রতিষ্ঠানের প্রাত্তন ছাত্র,প্রধান পৃষ্টপোষক ও ম্যানেজিং কমিটির সন্মানিত সভাপতি,চরাঞ্চলের মানুষের আশ্রয় ও বিশ্বাসের জীবন্ত কিংবদন্তী জনাব মোঃ রেজাউল হীরা এমপি (১৯৯৬-২০১৮)।যার আন্তরিক প্রচেষ্টায়,সুদক্ষ-দিকনির্দেশনায়,অকৃত্রিম সহানুভূতি ও ভালোবাসায় গড়া এই প্রতিষ্ঠান।বর্তমানে (২০২৩ইং) অত্র প্রতিষ্ঠানের নামে তিন একর বিরাশি শতক (৩.৮২) জমি রয়েছে। বিদ্যালয়টিতে (৪৮জনের সমন্বয়ে)সুসঙ্ঘঠিত বয়েজ স্কাউট ও গার্লস গাইডস দল গঠন করা হয়েছে।বিজ্ঞান,মানবিক ও ব্যবসায়-শিক্ষা ও ভোকেশনাল বিভাগসহ অতিরিক্ত ছয়টি শ্রেণী শাখা শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনুমোদন রয়েছে।অত্র বিদ্যালয়টি ২০২৩ইং শিক্ষাবর্ষে ২৭(সাতাশ) জন শিক্ষক-কর্মচারীদের অক্লান্ত পরিশ্রম,আন্তরিকতা,সহযোগিতা ও দায়িত্বশীলতার মাধ্যমে প্রায় ১১০০জন ছাত্র-ছাত্রীর মাঝে শিক্ষাদান করে আসছে। 

 

মোহাম্মদ আহির উদ্দিন আকন্দ (কায়সার)

প্রধান-শিক্ষক/সদস্য-সচিব